সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র / Satellite imagery and Topographical map / প্রশ্ন ও উত্তর / Question and Answer / Class 10/ WBBSE/Madhyamik

উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র / Satellite imagery and Topographical map / প্রশ্ন ও উত্তর / Question and Answer / Class 10/ WBBSE/Madhyamik




ক) উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো । 

১)ভারতে ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র প্রকাশ করে 
ভারতের সর্বেক্ষণ বিভাগ (Survey of India)। 

২)ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগের সদর দপ্তর অবস্থিত উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে। 

৩) ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগের শাখা দপ্তর অবস্থিত কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে। 

৪) উপগ্রহ চিত্রে কৃষিজমি এবং জনবসতি গুলিকে জ্যামিতিক আকারে দেখানো হয়।

৫) একটি উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে একই সঙ্গে ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত অঞ্চলের তথ্য পাওয়া যায়। 

৬) কৃত্রিম উপগ্রহে যুক্ত সেন্সর গুলি পৃথিবীর বিভিন্ন বস্তু বা উপাদান থেকে প্রতিফলিত সৌর রশ্মি তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ রূপে সংগ্রহ করে। 

খ) ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো। 

১) ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগ যে সালে স্থাপিত হয় -
১৭৬৩ / ১৭৬৭ / ১৭৬৯ / ১৮৬৭ 

১৭৬৭

২) ছাত্রছাত্রীরা যেসব টপোশিট ব্যবহার করে সেগুলি হল -
ইঞ্চি শিট / ডিগ্রী শিট / মিলিয়ন শিট

ইঞ্চি শিট

৩) উপগ্রহ চিত্রে গভীর অরণ্যের রং দেখানো হয় -
গাঢ় লাল রঙে / হালকা লাল রঙে / লালচে রঙে

গাঢ় লাল রঙে

৪) র‍্যাডার হল একটি -
অ্যাকটিভ সেন্সর/ প্যাসিভ সেন্সর /কৃত্রিম উপগ্রহ / ক্যামেরা। 

অ্যাকটিভ সেন্সর


নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর সংক্ষেপে লেখো। 


) রিমোট সেন্সিং বা দূরসংবেদন ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো ? 

দূর সংবেদন বা রিমোট  সেন্সিং বলতে বোঝায় কোন বস্তু বা স্থানের সংস্পর্শে না এসে দূর থেকে সেই বস্তু বা স্থানকে পর্যবেক্ষণ ও সেই সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার পদ্ধতি। এটি একটি অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা। 

২) দূর সংবেদন ব্যবস্থা কয় প্রকার ও কি কি? 

দূর সংবেদন ব্যবস্থা কে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়।
ক )এয়ার ফটো বা বিমান চিত্রগ্রহণ , খ)  স্যাটেলাইট ইমেজারি  বা উপগ্রহ চিত্রগ্রহণ ।

৩) উপগ্রহ চিত্র কি? 

পৃথিবী থেকে মহাকাশে যে সমস্ত কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হয় তার মধ্যে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা বা সেন্সর লাগানো থাকে। এর মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের যে চিত্র সংগ্রহ করা হয়, তাকেই উপগ্রহ চিত্র বলে।

) ভূ - বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র কাকে বলে?

যে মানচিত্রে ভূপৃষ্ঠের কোন অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান গুলিকে নির্দিষ্ট রং এবং প্রতীক চিহ্নের সাহায্যে, নির্দিষ্ট স্কেল, অক্ষাংশ, দ্রাঘিমা ও সূচক সংখ্যা সহ উপস্থাপিত করা হয়, সেই মানচিত্রকে ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র বলে ।

) সেন্সর কি?
 
সেন্সর হল এমন একটি যন্ত্র যা উপগ্রহ থেকে ডিজিটাল পরিসংখ্যানের আকারে পৃথিবীর বিভিন্ন বস্তু বা উপাদানের তথ্য সংগ্রহ করে। 

৬)সেন্সর কয় প্রকার ও কি কি? 

সেন্সর দু'রকমের হয়ে থাকে - ক)অ্যাকটিভ সেন্সর খ) প্যাসিভ  সেন্সর ।

৭) অ্যাকটিভ সেন্সর কি? 

সৌররশ্মির উপর নির্ভর না করে নিজেই আলোক তরঙ্গ পাঠিয়ে তার প্রতিফলন সংগ্রহ করে যে সেন্সর, সেগুলিকে অ্যাকটিভ সেন্সর বলে । যেমন - Radar

৮) প্যাসিভ সেন্সর কি? 

যে সেন্সরগুলি পৃথিবীর বিভিন্ন বস্তুর উপাদান থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য সৌর রশ্মির প্রতিফলনের উপর নির্ভর করে, সেই সমস্ত সেন্সরকে প্যাসিভ সেন্সার বলে।যেমন - ফটোগ্রাফিক ক্যামেরা। 

৯) উপগ্রহ চিত্রের ক্ষেত্রে তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণের গুরুত্ব খুব বেশি কেন

সূর্য রশ্মি যখন পৃথিবীপৃষ্ঠে পড়ে তখন তার কিছু অংশ শোষিত হয় এবং কিছু অংশ বিভিন্ন বস্তু থেকে প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায় কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে ছবি তোলার সময় এই প্রতিফলিত  সৌর রশ্মি ব্যবহৃত হয় যা তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ রূপে উপগ্রহের সংস্থাপিত সেন্সরে  ধরা পড়ে। 

১০) ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের  দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ। 

ক) পায়ে হেঁটে জরিপ করে ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র        অঙ্কন করা হয়। 
খ) ভূবৈচিত্র্য মানচিত্রের এলাকা অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র হয় এবং অঙ্কনের কাজ সময় সাপেক্ষ হয়।

১১) উপগ্রহ চিত্রের দুটি  বৈশিষ্ট্য লেখ। 

ক) প্রধানত প্রতিফলিত সৌর রশ্মির বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সংখ্যা ভিত্তিক রূপগুলিকে কাজে লাগিয়ে উপগ্রহ চিত্র অঙ্কন করা হয়। 
খ) উপগ্রহ চিত্র এলাকা সুবৃহৎ হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যে করা যায়। 

১২) মিলিয়ন শিট কি? 

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র সঠিকভাবে অঙ্কনের সুবিধার জন্য সার্ভে অফ ইন্ডিয়া সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ কে প্রথম পর্যায়ে ৪ ডিগ্রি অক্ষরেখা ও ৪ ডিগ্রি  দ্রাঘিমা রেখার ভিত্তিতে ১৩৫ টি  গ্রিডে ভাগ করেছে। এগুলি বৃহৎ পর্যায়ের মানচিত্র এবং এর স্কেল এক সেমিতে ১০ কিলোমিটার। এই ধরনের ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র কে মিলিয়ন শিট বলে।

১৩)ইঞ্চি শিট বা ১৫ মিনিট শিট কি ? 

যে ভূবৈচিত্র্য সূচক মানচিত্রের এক ডিগ্রি শিটকে ১৫ মিনিট x ১৫ মিনিট হিসেবে সমান ষোলটি ভাগে ভাগ করে ১ থেকে 16 পর্যন্ত ক্রমিক সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়,তাকে ইঞ্চি শিট বা ১৫ মিনিট শিট বলে । এই মানচিত্রের স্কেল ১ সেমিতে  ২  কিলোমিটার। 

১৪) FCC কি? 

উপগ্রহ চিত্র তৈরি করার সময় পৃথিবীর বিভিন্ন উপাদান গুলির প্রকৃত রঙের বহিঃপ্রকাশ না করে অন্য রং দ্বারা প্রকাশ করা হয় একে False colour composite বলে। 
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো ।


১) উপগ্রহ চিত্র তোলার বিভিন্ন পর্যাযগুলি সংক্ষেপে লেখ। 

মহাকাশে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে উপগ্রহ চিত্র তৈরির পদ্ধতিটি কতগুলি পর্যায়ে সংঘটিত হয়ে থাকে। সেগুলি হল -

প্রথম পর্যায় : প্রথম পর্যায়ে রকেটের সাহায্যে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা বা সেন্সর যুক্ত কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠাতে হয়। 

দ্বিতীয় পর্যায় : দ্বিতীয় পর্যায়ে কৃত্রিম উপগ্রহের যুক্ত সেন্সরগুলি পৃথিবীর বিভিন্ন বস্তু বা উপাদান থেকে প্রতিফলিত সৌর রশ্মির পরিমাণ বা উজ্জ্বলতা মান অনুসারে বিভিন্ন ব্যান্ড -এ সংখ্যার আকারে জমা করে। 

তৃতীয় পর্যায় :সংগৃহীত তথ্য গুলি তৃতীয় পর্যায়ে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত Ground Station -এ পাঠানো হয়।

চতুর্থ পর্যায় : চতুর্থ পর্যায় বা ট্রান্সফরমেশন পর্যায়ে সংগৃহীত তথ্যগুলির মধ্যে যেসব ভুল ত্রুটি বা অসম্পূর্ণতা থাকে সেগুলোকে সংশোধন করে নতুন ব্রাইটনেস ভ্যালু বা উজ্জ্বলতা মান নির্ণয় সহ আনুষঙ্গিক কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্যগুলিকে ব্যবহারের উপযোগী করে তা থেকে চিত্র তৈরি করা হয়। 

পঞ্চম পর্যায় : চিত্র তৈরি হলে সেটিকে ভিত্তি করে জিআইএস পদ্ধতির মাধ্যমে নানা  ধরনের মানচিত্র তৈরি করা হয়।

) উপগ্রহ চিত্র এবং ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখ

ক) উপগ্রহ চিত্র হলো কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা পৃথিবীর আলোক চিত্রের অনুরূপ চিত্র । 
অন্যদিকে ভূপৃষ্ঠে জরিপ কার্যের মাধ্যমে সংগৃহীত বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে অঙ্কিত মানচিত্র হল ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র। 

খ) উপগ্রহ চিত্র একটি আধুনিক ব্যবস্থা। 
 অন্যদিকে ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র অপেক্ষাকৃত প্রাচীন ব্যবস্থা। 

গ) প্রধানত প্রতিফলিত সৌর রশ্মির বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সংখ্যা ভিত্তিক রূপগুলোকে কাজে লাগিয়ে উপগ্রহ চিত্র অঙ্কন করা হয় । 
অন্যদিকে পায়ে হেঁটে জরিপ করে ভূবৈচিত্র সূচক মানচিত্র অংকন করা হয়। 

ঘ) উপগ্রহ চিত্রে এলাকা সুবৃহৎ হয় অপরপক্ষে ভূবৈচিত্র সূচক মানচিত্রে এলাকা ক্ষুদ্র হয়। 


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

দশম শ্রেণী ভূগোল ম্যাপ পয়েন্টিং মাধ্যমিক Class 10 Geography map pointing

  Click the picture Click the picture   Click the picture Click the picture Click the picture Click the picture Click the picture Click the picture

চাহিদা (Demand) – অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 100টি MCQ প্রশ্নোত্তর | Economics Notes in Bengali

  চাহিদা (Demand) – 50টি গুরুত্বপূর্ণ MCQ 1 . চাহিদা বলতে কী বোঝায়? a) আকাঙ্ক্ষা b) ক্রয়ক্ষম আকাঙ্ক্ষা c) উৎপাদন d) সরবরাহ ✔ উত্তর: b) ক্রয়ক্ষম আকাঙ্ক্ষা 2. চাহিদার তিনটি উপাদান হলো— a) প্রয়োজন + অর্থ + ইচ্ছা b) প্রয়োজন + উৎপাদন + সরবরাহ c) প্রয়োজন + আয় + শ্রম d) শ্রম + পুঁজি + ভূমি ✔ উত্তর: a) প্রয়োজন + অর্থ + ইচ্ছা 3. চাহিদার আইন কে প্রবর্তন করেন? a) অ্যাডাম স্মিথ b) আলফ্রেড মার্শাল c) কেইনস d) পিগু ✔ উত্তর: b) আলফ্রেড মার্শাল 4. চাহিদার আইনের মূল কথা কী? a) দাম বাড়লে চাহিদা বাড়ে b) দাম বাড়লে চাহিদা কমে c) দাম কমলে চাহিদা কমে d) আয় বাড়লে চাহিদা কমে ✔ উত্তর: b) দাম বাড়লে চাহিদা কমে 5. চাহিদা বক্ররেখা সাধারণত কেমন হয়? a) ঊর্ধ্বমুখী b) নিম্নমুখী c) সমান্তরাল d) উল্লম্ব ✔ উত্তর: b) নিম্নমুখী 6. চাহিদার আইনের কার্যকারিতা কোন শর্তে বজায় থাকে না? a) আয়ের স্তর অপরিবর্তিত থাকলে b) ভোক্তার রুচি অপরিবর্তিত থাকলে c) দাম অপরিবর্তিত থাকলে d) ভোক্তার আয় ক্রমাগত বাড়লে ✔ উত্তর: d) ভোক্তার আয় ক্রমাগত বাড়লে 7. চাহিদা বক্ররেখা আঁকতে X অক্ষের উপর থাকে— a) দাম b) চাহিদার পরিমাণ c)...

প্রশ্নমালা(Questionnaire) কি? প্রশ্নমালার প্রকারভেদ/প্রশ্নমালার সুবিধা ও অসুবিধা

What is questionnaire?/ প্রশ্নমালা কি?  ভূগোলের গবেষণা বা বিষয় অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর তথ্য সংগ্রহের একটি অন্যতম পদ্ধতি হল প্রশ্নমালা পদ্ধতি বা questionnaire method.  এই পদ্ধতির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিত ও সুসজ্জিত কিছু প্রশ্ন লিখিত আকারে উত্তরদাতার কাছে রাখে এবং উত্তরদাতা সেটি পূরণ করে সাক্ষাৎ গ্রহণকারীকে দেয় । Characteristics of questionnaire (প্রশ্নমালার বৈশিষ্ট্য ) :- একটি আদর্শ প্রশ্নমালার কতকগুলি বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করা যেতে পারে ।সেগুলি হল - প্রশ্নের ভাষা সহজ এবং সরল হতে হবে।  প্রশ্নের ভাষা সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট হওয়া দরকার।  সব ধরনের মানুষ বুঝতে পারবে এমন প্রশ্ন করা উচিত।  প্রশ্নগুলি যেন উত্তর দাতার পরিবেশের সঙ্গে মানানসই হয় সেদিকে লক্ষ্য দিতে হবে।  উত্তরদাতার আত্মমর্যাদা কে সম্মান দিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করা উচিত।  দীর্ঘ গননা দরকার এমন প্রশ্ন এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।  যেসব প্রশ্নের একাধিক উত্তর বা অসম্পূর্ণ উত্তর হয় সেসব প্রশ্ন এড়িয়ে চলা উচিত।    Step...