সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হিমালয় এখনও বাড়ছে! – এক অজানা ভূ-তথ্য যা আপনাকে অবাক করবে

হিমালয় এখনও বাড়ছে! – এক অজানা ভূ-তথ্য যা আপনাকে অবাক করবে

🏔️ হিমালয় এখনও বাড়ছে! – প্রকৃতির এক আশ্চর্য ঘটনা

হিমালয় পর্বতমালা, পৃথিবীর সর্বোচ্চ ও অন্যতম বিস্ময়কর ভূ-আকৃতি, এখনও থেমে নেই। আপনি কি জানেন, এই বিশাল পর্বতমালা প্রতিদিন একটু একটু করে বড় হয়ে উঠছে?

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট থেকে শুরু করে অসংখ্য শৃঙ্গ নিয়ে গঠিত হিমালয় পর্বতমালা এক জীবন্ত ভূ-প্রক্রিয়া। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে, হিমালয়ের উচ্চতা প্রতি বছর প্রায় ৫-৬ মিলিমিটার করে বাড়ছে

📚 কীভাবে শুরু হয়েছিল এই পর্বতমালার সৃষ্টি?

প্রায় ৫ কোটি বছর আগে, ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে হিমালয়ের জন্ম। ভারতীয় প্লেট উত্তর দিকে সরে এসে ইউরেশিয়ান প্লেটের নিচে ঢুকে যেতে থাকে, ফলে ভূপৃষ্ঠ উঠে গিয়ে তৈরি হয় বিশাল পর্বতশ্রেণী। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় Orogeny বা পর্বতগঠন।

এখনও ভারতীয় প্লেট বছরে প্রায় ৫ সেমি করে সরছে — যার প্রভাবে হিমালয় উঁচু হচ্ছে।

🛰️ কীভাবে জানা গেছে যে হিমালয় বাড়ছে?

  • আধুনিক GPS মেপিং, স্যাটেলাইট ডেটা ও রিমোট সেন্সিং ব্যবহার করে ভূবিজ্ঞানীরা বুঝেছেন হিমালয়ের উচ্চতা বাড়ছে।
  • ২০২০ সালে চীন ও নেপালের যৌথ জরিপে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা নির্ধারিত হয় ৮,৮৪৯ মিটার — পূর্বের তুলনায় কিছুটা বেশি।

🌏 হিমালয় বৃদ্ধির প্রভাব কী কী হতে পারে?

১. ভূমিকম্প:

টেকটোনিক চাপ জমে গিয়ে মাঝেমধ্যে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। যেমন ২০১৫ সালের নেপাল ভূমিকম্প, যাতে প্রায় ৯,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

২. হিমবাহ ও জলবায়ু:

উচ্চতা বাড়ার কারণে হিমবাহের গলনের হার, নদীর উৎপত্তি ও জলচক্রে পরিবর্তন ঘটতে পারে।

৩. বাস্তুতন্ত্রে পরিবর্তন:

উচ্চতার পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীর জীবনচক্র ও পরিবেশে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে।

❓❓ তাহলে এত বড় পরিবর্তন চোখে ধরা পড়ে না কেন?

কারণ এটি খুব ধীর — প্রতি বছর মাত্র ৫ মিলিমিটার। আমাদের চোখে বোঝা না গেলেও বছরের পর বছর পরে এই পরিবর্তন বিশাল প্রভাব ফেলে

 উপসংহার

হিমালয় শুধু একটি পর্বতশ্রেণী নয় — এটি একটি জ্যান্ত ভূ-প্রকৃতি। যে প্রতিদিন নিজের অবস্থান, উচ্চতা ও গঠন পরিবর্তন করে চলেছে — আমাদের অজান্তেই। এই তথ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় — প্রকৃতি কখনোই থেমে থাকে না


📅 প্রকাশের তারিখ: ১ আগস্ট ২০২৫

✍️ লেখক: মৌমিতা মণ্ডল


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

দশম শ্রেণী ভূগোল ম্যাপ পয়েন্টিং মাধ্যমিক Class 10 Geography map pointing

  Click the picture Click the picture   Click the picture Click the picture Click the picture Click the picture Click the picture Click the picture

চাহিদা (Demand) – অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 100টি MCQ প্রশ্নোত্তর | Economics Notes in Bengali

  চাহিদা (Demand) – 50টি গুরুত্বপূর্ণ MCQ 1 . চাহিদা বলতে কী বোঝায়? a) আকাঙ্ক্ষা b) ক্রয়ক্ষম আকাঙ্ক্ষা c) উৎপাদন d) সরবরাহ ✔ উত্তর: b) ক্রয়ক্ষম আকাঙ্ক্ষা 2. চাহিদার তিনটি উপাদান হলো— a) প্রয়োজন + অর্থ + ইচ্ছা b) প্রয়োজন + উৎপাদন + সরবরাহ c) প্রয়োজন + আয় + শ্রম d) শ্রম + পুঁজি + ভূমি ✔ উত্তর: a) প্রয়োজন + অর্থ + ইচ্ছা 3. চাহিদার আইন কে প্রবর্তন করেন? a) অ্যাডাম স্মিথ b) আলফ্রেড মার্শাল c) কেইনস d) পিগু ✔ উত্তর: b) আলফ্রেড মার্শাল 4. চাহিদার আইনের মূল কথা কী? a) দাম বাড়লে চাহিদা বাড়ে b) দাম বাড়লে চাহিদা কমে c) দাম কমলে চাহিদা কমে d) আয় বাড়লে চাহিদা কমে ✔ উত্তর: b) দাম বাড়লে চাহিদা কমে 5. চাহিদা বক্ররেখা সাধারণত কেমন হয়? a) ঊর্ধ্বমুখী b) নিম্নমুখী c) সমান্তরাল d) উল্লম্ব ✔ উত্তর: b) নিম্নমুখী 6. চাহিদার আইনের কার্যকারিতা কোন শর্তে বজায় থাকে না? a) আয়ের স্তর অপরিবর্তিত থাকলে b) ভোক্তার রুচি অপরিবর্তিত থাকলে c) দাম অপরিবর্তিত থাকলে d) ভোক্তার আয় ক্রমাগত বাড়লে ✔ উত্তর: d) ভোক্তার আয় ক্রমাগত বাড়লে 7. চাহিদা বক্ররেখা আঁকতে X অক্ষের উপর থাকে— a) দাম b) চাহিদার পরিমাণ c)...

প্রশ্নমালা(Questionnaire) কি? প্রশ্নমালার প্রকারভেদ/প্রশ্নমালার সুবিধা ও অসুবিধা

What is questionnaire?/ প্রশ্নমালা কি?  ভূগোলের গবেষণা বা বিষয় অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর তথ্য সংগ্রহের একটি অন্যতম পদ্ধতি হল প্রশ্নমালা পদ্ধতি বা questionnaire method.  এই পদ্ধতির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিত ও সুসজ্জিত কিছু প্রশ্ন লিখিত আকারে উত্তরদাতার কাছে রাখে এবং উত্তরদাতা সেটি পূরণ করে সাক্ষাৎ গ্রহণকারীকে দেয় । Characteristics of questionnaire (প্রশ্নমালার বৈশিষ্ট্য ) :- একটি আদর্শ প্রশ্নমালার কতকগুলি বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করা যেতে পারে ।সেগুলি হল - প্রশ্নের ভাষা সহজ এবং সরল হতে হবে।  প্রশ্নের ভাষা সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট হওয়া দরকার।  সব ধরনের মানুষ বুঝতে পারবে এমন প্রশ্ন করা উচিত।  প্রশ্নগুলি যেন উত্তর দাতার পরিবেশের সঙ্গে মানানসই হয় সেদিকে লক্ষ্য দিতে হবে।  উত্তরদাতার আত্মমর্যাদা কে সম্মান দিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করা উচিত।  দীর্ঘ গননা দরকার এমন প্রশ্ন এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।  যেসব প্রশ্নের একাধিক উত্তর বা অসম্পূর্ণ উত্তর হয় সেসব প্রশ্ন এড়িয়ে চলা উচিত।    Step...